আশিক নূরী : [১] হুমায়ুন আজাদ একজন বাংলাদেশি কবি, ঔপন্যাসিক, ভাষাবিজ্ঞানী, সমালোচক, রাজনীতিক ভাষ্যকার, কিশোরসাহিত্যিক, গবেষক, এবং অধ্যাপক ছিলেন। হুমায়ুন আজাদের ৭টি কাব্যগ্রন্থ, ১২টি উপন্যাস, ২২টি সমালোচনা গ্রন্থ, ৭টি ভাষাবিজ্ঞানবিষয়ক, ৮টি কিশোরসাহিত্য ও অন্যান্য প্রবন্ধসংকলন মিলিয়ে ৬০টিরও অধিক গ্রন্থ তাঁর জীবদ্দশায় এবং মৃত্যু পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত হয়। [২] হুমায়ুন আজাদ ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আবদুর রাশেদ ছিলেন একজন শিক্ষক এবং তাঁর মা জোবেদা খাতুন ছিলেন গৃহিণী। বহুমুখী সাহিত্য প্রতিভার অধিকারী স্বতন্ত্র ও প্রথাবিরোধী লেখক হিসেবে সুপরিচিত হুমায়ুন আজাদ কর্মজীবনে অধ্যাপনা পেশা বেছে নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে হুমায়ুন আজাদ লতিফা কোহিনুরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

[৩] তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অলৌকিক ইস্টিমার’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। গবেষক ও প্রাবন্ধিক হুমায়ুন আজাদ ৯০ এর দশকে একজন প্রতিভাবান ঔপন্যাসিক হিসাবেও আত্মপ্রকাশ করেন। তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছেÑ ‘জ্বলো চিতাবাঘ’, ‘সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে’ ও ‘যতোই গভীরে যাই মধু যতোই ওপরে যাই নীল’ অন্যতম। তাঁর প্রকাশিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ ‘ছাপ্পানো হাজার বর্গমাইল’, ‘সব কিছু ভেঙে পড়ে’ ও ‘যাদুকরের মৃত্যু’ অন্যতম। [৪] হুমায়ুন আজাদ বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার’, ‘অগ্রণী শিশু-সাহিত্য পুরস্কার’ ও ‘মার্কেন্টাইল ব্যাংক পুরস্কার’। এছাড়াও তিনি ২০১২ সালে মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন। প্রতিভাবান এ লেখক ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট মারা যান।